---
শ্যামলের বুক চিরে বয়ে গেছে যে নদ
নাম তার ব্রহ্মপুত্র
কী সুন্দর! স্নিগ্ধ, শান্ত।
মুগ্ধ চোখে তাকালে মনে হয়
সে যেন ললিত চোখে আমায় ডাকছে।
একটু কাছে গিয়ে তার শরীরে হাত বুলাতে
এক অদ্ভূত ভালোলাগায় গা শিউরে উঠে।
সাঁতার শেখা থেকে শুরু করে মাছ ধরা-
বন্ধুরা মিলে দলবেঁধে নৌকায় করে ঘুরে বেড়ানো
হাজারো স্মৃতি জড়িয়ে আছে।

কত লঞ্চ স্টীমার চলে গেছে তোমার বুক চিরে।
বাতাসে পাল উড়িয়ে মাঝিরাও মনের আনন্দে সুর তোলে-
“ওরে ও…….ভাটিয়াল গাঙের নাইয়া………..।”
কত উদারতায় ভরে দিয়েছ ফসলে ফসলে এই বাংলার মাঠ।
কত জেলেদের অন্নের ভরসা ছিলে তুমি।
বৃক্ষের ছায়ায়, তোমার নিরব ঢেউয়ের কলতানের
সেই দৃশ্য অবলোকনে তোমার পানে ছুটে যাই।

প্রকৃৃতি মমতার ঘেরা নদের তীরে-
গাঁয়ের শিশু কিশোর কিশোরীরা মনের উচ্ছ¡াসে
জলকেলিতে মেতে উঠে
দিনের ক্লান্তি ঘোচাতে স্নানের পর
কলছি কাঁখে ছুটে চলে গেঁয়ো বধু
নদের সাথে আমাদের এ মিতালি
কালের সাক্ষী হয়ে আছে যুগ যুগ ধরে।

নদের তীরের সবুজ কার্পেটে বসে সেদিন
প্রেয়সীর চোখে চোখ রাখি
প্রেয়সীর শ্রী যেন তোমার সাথে মিশে একাকার
“আমি তোমাকেই ভালোবাসি”
বলেই নিরব নিস্তব্ধ-
নির্বাক হয়ে নিজেও তার বুকে কান পেতে রই।
শুনতে পাই অতলে সুখের সুরের মুর্ছনা-
বিকেল গড়িয়ে সন্ধা সেদিকে কারও হুঁশ নেই।
এভাবেই কেটে গেছে কত বিকেল।