আমার একটা ‘কেউ’ থাকা চাই

বিল গেটসের মতো
কেউ কেউ আকাশের মালিকানা দাবি করে
ব্যবসা করতে চায়।
কেউ কেউ নিজ নামে পাহাড় কিনে নেয়
কেউ বা আবার একটা বিরাট রাষ্ট্র লিখে নিতে চায়
নিজের নামে।
খুব বিরাট কিছু হবার ইচ্ছে আমার ছিল না, নীহারিকা!
পাহাড় কিংবা রাষ্ট্রের মালিকানা চাইনি কখনো।
অতি সামান্য কিছুর জন্যে আমি যার পর নাই
হেঁটে গেছি একা।
অন্তত: কেউ আমার জন্যে দরজার খিল খুলে
দাঁড়িয়ে থাকুক
কোনো এক রাতে সে বলুক,
আজ পূর্ণিমা, জলদি ফিরে এসো..
এটুকুন কি খুব বেশি চাওয়া –
কেউ বলুক, “এখনো ঘুমাওনি কেন?
আয়নায় মুখখানি দ্যাখো….
তাকানো যায় না ঠিক,
কত করে বলি, এইসব ছাইপাঁশ খেও না;
ব্যাপক ধরপাকড় হচ্ছে
বাইরে যেও না-
এইসব শাসন বারন……
তুমিই বলো, নীহারিকা
এটা কি আমার খুব বেশি চাওয়া?
একটা মানুষের জীবনে কি এমন কেউ থাকতে নেই
যে বলবে, তোমার শরীর ভাল নেই;
আজ অফিসে যেও না।
একটা মানুষের জীবনে কি এমন কেউ থাকতে নেই
যে বলবে, বাইরে ভীষণ গন্ডগোল ;
সাবধানে যেও
দুপুরে খাবার ঠিকঠাক খেয়ে নিও।
একটা মানুষের জীবনে কি এমন কেউ থাকতে নেই
যে বলবে,
একই চশমা, আর কতোদিন পরবে?
চলো তোমাকে একটা নতুন চশমা কিনে দিই,
এটা কি আমার খুব বেশি চাওয়া-
কেউ বলুক, “তোমার কবিতা আমাকে ছুঁয়ে যায়
দেখে নিও
কোন একদিন তোমার কবিতা হৈচৈ ফেলে দেবে;”
এটা কি আমার খুব বেশি চাওয়া-
কেউ বলুক, সমুদ্র নীল কালারে তোমাকে দারুণ মানায়
কালোতেও বেশ ভাল লাগে।
এর চেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার নেই আমার
এমনকি
সঙ্গমে আগ্রহ দেখাইনি কোনো দিন
কেবলি সঙ্গ চেয়েছি…
কেবলি চেয়েছি, কেউ একজন থাকুক আমাকে
আগলে রাখার
রোদ ও বৃষ্টিতে ; একটা ছাতার মতো.…
কারো কারো জন্যে
এ সামান্য চাওয়াই অসামান্য হয়ে উঠতে পারে
খুব বিরাট কিছুর জন্যে নয়;
“কোথায় আছো? কেমন আছো?” শুধু একটুন
জানবার মতো একটা কেউ না থাকবার
কারণে
কেউ কেউ আচমকা প্রতিবাদী হয়ে উঠতে পারে
কেউ কেউ বিদ্রোহ করতে পারে
বুক চাপড়ে বলতে পারে,
আমার একটা ‘কেউ’ থাকা চাই
আমার একটা ‘কেউ’ থাকা চাই।