কলের মানুষ

মনের মইধ্যে একটা কতা খচখচ করতাছে,
ফুলপাখি!
মনে লয় তোমারে জিগাই,
ওরাও কি তোমার লাহান বেবাক পারে?
ওরাও কি তোমার লাহান এমন কইরা তাকাইবার পারে,
যেন বুকের গহীনে গিয়া লাগে?
হেদের চোখেও কি তোমার লাহান যাদু থাহে?
যেনো পলক ফালাইতে মন করে না….
ওরাও কি তোমার লাহান হাসবার পারে?
চান্দের লাহান ঠান্ডা ঠান্ডা; কী যে মায় লাইগা থাহে
তোমার বেবাক মুখে!
আমি অবাক হইয়া দেহি আর দেহি…
ওরাও কি বুঝবার পারে, আমার বুকের মইধ্যে
কী ঢেউ খেলে, কী কতা আউল বাউল করে,
যেমন কইরা তুমি পারো?
ওরা কি বুঝবার পারে, ক্যান আমি সারা রাইত ঘুমাই না
কীসের লাইগা আমি রাইত বিরাইতে বইসা থাহি
পুকুরের পারে?
পারবো? কও,
পারবো না; পারবো না।
হেদের গতরে কোনোই সুবাস নাই, তোমার লাহান
হেদের চুলে কোনোই ঘেরান নাই, তোমার লাহান
ওরা কলের মানুষ
লোহা লক্কর আর পেলাস্টিকের মানুষ
ওরা খবর পড়বার পারে,
তোমার লাহান ভালবাসবার পারে না।
ওরা কাম করবার পারে,
তোমার লাহান আগলাইয়া রাখবার পারে না।
হেদের গতরে তোমার লাহান ওম নাই;
যেই ওম আমি তোমার বগলে পাই….
ওরা কলের মানুষ, হেদেরকে তোমার পীড়িতে বইতে দিমু না,
ফুলপাখি!
আগুন দিয়া জ্বালাইয়া দিমু।
যেহানে মানুষ কলিজা লইয়া খেলা করে
যেহানে মানুষ অন্তর লইয়া বাঁইচা থাহে
হেয়ানে কলের মানুষের জায়গা অইব না।
অইতে দিমু না।
এই দ্যাশ, এই গেরাম, ফুলপাখিদের, যাগো ভিতরটা
নদীর লাহান খোলা, চান্দের লাহান ফর্সা
হেনে কলের মানুষের কোনো কাম নাই।
আমরা মানুষ চাই, কলের মানুষ চাই না।
আমরা কলের মানুষ পাই, মনের মানুষ পাই না।
৩০/০৭/২০২৩ ঢাকা।