কিরে রমজান………….!
চোখে চশমা গলায় চেইন
কাপড়-চোপড় ও বেশ,
বাবা মা’কে যত্ন করতে
তোর না’কি লাগে হাপিত্যেশ।
শশুর বাড়ির লোক আসিলে
বাজার বেশ কড়া,
বাপ, মা, ভাই-বোন কিছু চাহিলে
বলিস যাচ্ছে না’কি বেশ খরা।
বউয়ের কথায় বাপকে মারিস
মা’কে বলিস যা-তা,
ওরে বোকা বুঝিস কিছু
বাপ,মা মাথার ছাতা।
চাচার কথা শুনে….
রমজান হেসে কয়
আরে কি বলেন চাচা,
সে জন্য বাবা মা’কে
দিয়ে আসছি ঢাকা।
এখন থেকে বৃদ্ধাশ্রমে
থাকবে আরামে,
ঔষধ পথ্য সবই দিবে তারা
যদি ধরে ব্যারামে।
বিশ্বাস করেন চাচা
কইতাছি আমি হাছা,
বুড়া বুড়ি দুজনেই
বউয়ের সাথে ব্যবহার করে যা-তা।
বউ আমার কাজ করে চাচা
হয়ে গেছে শেষ,
পরের বেটি, বলেন চাচা
তার লাগি কষ্ট লাগে আমার বেশ।
অনেক দিন সহ্য করে চাচা,
আজকে লাগলো ভালো,
বাবা মা’কে বৃদ্ধাশ্রমে দিয়ে আসলো
আমাদের পাশের বাড়ির আলো।
চুপ, ফাজিল করলি কি তুই ভুল
এখনও সময় আছে, যাবি তুই কাল ঢাকা,
তাদের কে ছাড়া,চেয়ে দেখ,
পুরো বাড়িটা যেন ফাঁকা।
ছেলে মেয়ে দাদা দাদী ডাকবে কাকে বল
বাবা মা’কে কষ্ট দিলে,
পরকালে পাবি তুই কষ্ট নামক ফল।
একি বলেন চাচা!
তাইলে বউয়ের কথায়
করলাম কি মস্ত বড় ভুল,
কালই যামু ঢাকা
এখন থেকে বাপ মা ছাড়া,
থাকবো না’কো একা।
তারা এলে পায়ে ধরে
চাইবো আমি মাফ,
বাপ মা’কে করবো না পর
সবাই দূরে থাক।
রমজানের এই কথা শুনে
বললেন চাচা হেসে,
জান্নাত তুই পেতে পারিস
তাদের ভালোবেসে।
বৃদ্ধাশ্রম
প্রকাশকাল: রবিবার, ৪ জুন ২০২৩, ০৯:৪৭ পিএম ▪ হালনাগাদ: সোমবার, ৫ জুন ২০২৩, ০৫:১১ এএম ▪ পঠিত: ৩০৭